| |
               

মূল পাতা রাজনীতি অন্যান্য ‘শাপলার গণহত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, এবার পিলখানার গণহত্যার স্বীকারোক্তি দিন’


‘শাপলার গণহত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, এবার পিলখানার গণহত্যার স্বীকারোক্তি দিন’


রহমত নিউজ ডেস্ক     18 October, 2023     09:18 PM    


বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেছেন, আওয়ামী লীগের দুই নম্বর ব্যক্তি ওবায়েদুল কাদের স্বীকার করেছেন ২০১৩ সালের ৫ মে রাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে তৎকালীন শাসক দলের নির্দেশে গণহত্যা পরিচালিত হয়েছিল। স্বীকারের পাশাপাশি তিনি হুমকিও দিয়েছেন যদি বিএনপি আন্দোলন করে তার চেয়ে পরিণতি খারাপ হবে। আপনারা হুমকি দিলেন, আপনারা গণহত্যা করবেন। একটি গণহত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, আরেকটি দেন। সেটি হলো- ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় যাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেটি কার নির্দেশে করা হয়েছিল? 

বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর বিজয় নগর পানির ট্যাংকের সামনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, খালেদা জিয়ার  নিঃশর্ত মুক্তি ও এক দফা দাবিতে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-একাংশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আপনার বিএনপিকে হুমকি দিন, বলুন হে বিএনপি, আবার যদি আন্দোলন করো তাহলে পিলখানার চেয়ে খারাপ পরিণতি হবে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৫ ও ৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছিল। আওয়ামী লীগ এক সঙ্গে ৭৪ দিন হরতাল করেছিল, জ্বালাও পোড়াও করেছিল, রেললাইন তুলে ফেলেছিল, অফিস ঘেরাও করেছিল, সরকারি অফিসারদের বলেছিল, তোমরা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কর, আমরা কিংবা বিএনপি কী আন্দোলন করেছি, ধ্বংস চালিয়েছি, নাশকতা করেছি? করিনি। প্রয়োজনে আমরাও আপনাদের দেখানো পথেই আন্দোলন করব। আওয়ামী লীগ, ব্যাংক লুটকারী, আপনারা মানুষ হত্যাকারী। আপনাদের হাতে দেশের অর্থনীতি নিরাপত্তা নেই। আপনাদের হাতে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। অতএব আপনাদের পদত্যাগ করতে হবে। অথবা পদত্যাগে বাংলাদেশের মানুষ যা প্রয়োজন তাই করবে।